ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওদের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::  উখিয়ায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত   ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার  জনগোষ্ঠীর  ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায়   আন্দোলনে ফুঁসে  উঠেছে। এনজিওতে  বেকার শিক্ষিতদের চাকুরি ও    ছাঁটাই বন্ধের দাবিতে  বালুখালীতে   মানববন্ধন  ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির  উদ্যোগে  মানববন্ধনে স্থানীয় শত শত শিক্ষিত বেকার যুব ও পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের ভুক্তভোগীরা অংশ নেয়। তারা সকাল থেকে সড়কে অবস্থান নেয় এবং প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করে ওয়ার্ল্ড ভিশন গাড়িগুলোকে ফিরিয়ে দেয় এবং এনজিও কর্মীদের ক্যাম্পে যেতে বাধা দেয়।

তাদের দাবি   হচ্ছে  ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়দের নানা ক্ষতি হচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত তা ভোগ করছে। রোহিঙ্গা আসার ফলে দেশি-বিদেশি নানান এনজিও-আইএনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা বারবার স্থানীয় শিক্ষিত সমাজকে বাদ দিয়ে চাকরি করার সুযোগ না দিয়ে রোহিঙ্গা যুবকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা অন্য অঞ্চলের হওয়ায় তারা সুকৌশলে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ বাদ পড়ে যাচ্ছে।

তাদের দাবি গুলো হচ্ছে  এনজিও ওয়াল্ড ভিশনের  জিএফএ প্রকল্পের   ২০৬ জ চাকুরীজীবি রোহিঙ্গাদের মধ্যে যে ১০৬ জন রোহিঙ্গারা মাসিক বেতনে চাকুরী করে তাই তাদের বাদ দিয়ে উক্ত স্থলে স্থানীয়দের নিয়োগ দিতে হব।  যাদেরকে ছাটাই করা হয়েছে তাদেরকে চাকুরীতে পুনঃর্বহাল করতে হবে।

 এবং নতুন নিয়োগ সমূহে নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটায় স্থানীয়দের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক রবিউল আলম, সদস্য সচিব আব্দুল গফুর, যুগ্ন আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি, এতমিনানুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।  আহ্বায়ক রবিউল আলম বলেন, রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়রা নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন স্থানীয়দের বাদ দিয়ে ৮০ ভাগ রোহিঙ্গাদের নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, আমাদের প্রস্তাবিত দাবি মেনে না নিলে পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: